Posts

Showing posts from 2010

ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন, ইংরেজি নববর্ষের শুভ সূচনালগ্নে আমি দেশবাসী, প্রবাসী বাঙালি এবং বিশ্বের সকল নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, তথ্য-প্রযুক্তি খাতে উৎকর্ষ অর্জন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতিকে নতুনভাবে উজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে বিদায়ি ২০১০ আমাদের জাতীয় জীবনে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে।সদ্য সমাপ্ত বছরে কার্যকর হয়েছে জাতির বহু প্রতীক্ষিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায়। বিদায়ি বছরে আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। নতুন বছরে এ বিচার কাজকে আমরা জনগণের প্রত্যাশিত পর্যায়ে নিয়ে যাব। পাশাপাশি জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ড এবং ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের কাজ শুরু করার ব্যবস্থা গ্রহণ করব, ইনশাআল্লাহ।বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব উপেক্ষা করে গত বছর আমরা আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছি। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিনিয়োগ ও আমদান

Mother of all terror’.সিরাজ শিকদারঃ মুক্তিযোদ্ধা না জনবিচ্ছিন্ন, মার্ক্সবাদী একনায়ক!

সিরাজ শিকদারঃ মুক্তিযোদ্ধা না জনবিচ্ছিন্ন, মার্ক্সবাদী একনায়ক! বিগত ৩৫ বছর ধরে প্রতি বছর জানুয়ারী মাসে কিছু কিছু রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক নেতা, তোতা পাখীর মতো সিরাজ সিকদার হত্যার বিচার এর দাবী তুলেন ( বিশেষত যখনি বঙ্গবনধু হত্যার বিচারের দাবী উঠত) এবং তার পরই যখন তাদের দল যখন ক্ষমতায় আসে বা থাকে, তখন কিছুদিনের জন্য সেই দাবি ভুলে শীত নিদ্রায় চলে যান। ১৯৭৫ সালের জানুয়ারীতে ’ক্রস ফায়ারে’ সিরাজ শিকদার’এর নিহত হবার পরে সুদীর্ঘ ২১ বছর এই দলগুলি ক্ষমতায় ছিল। সেই একুশ বছরে এই দলগুলি কিন্তু সিরাজ সিকদার হত্যার বিচার এর কোন উদ্যোগ গ্রহন করে নাই। আসুন না, নিরপেক্ষ দৃস্টিতে দেখি সিরাজ সিকদারের কর্মবহুল জীবন। ফিরে দেখা যাক, সেই দিনগুলি আর তখনকার পরিস্থীতি। প্রথমে দেখা যাক, কে ছিল এই সিরাজ সিকদার? এককালীন ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন) এর সক্রিয় কর্মী এবং পরবর্তীতে ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন) এর কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি সিরাজ সিকদার ছিলেন পেশায় প্রকৌশলী। সিরাজ সিকদার, ১৯৬৭ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি থেকে প্রথম শ্রেনীতে ডিগ্রী লাভ করেন। সি এন্ড বি তে প্রকৌশলী হিসাবে যোগদানের তিনমাসের মধ্যেই তিনি চাকুরী থেকে পদত্যাগ

মুক্তিযুদ্ধে সর্বশেষ স্বাধীন গৌরনদী মুক্ত দিবস আজ

Image
মুক্তিযুদ্ধে সর্বশেষ স্বাধীন গৌরনদী মুক্ত দিবস আজ মুক্তিযুদ্ধে সর্বশেষ স্বাধীন হয়েছে বরিশালের গৌরনদী। ১৯৭১’র ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় ঘোষিত হলেও গৌরনদী হানাদার মুক্ত হয়েছে ২২ ডিসেম্বর সেই হিসেবে আজ বুধবার গৌরনদী মুক্ত দিবস। দীর্ঘ ২৮ দিন মুক্তি বাহিনী ও মুজিব বাহিনীর যৌথ আক্রমণের পর গৌরনদী কলেজে অবস্থানরত শতাধিক পাক সেনা মিত্র বাহিনীর হাতে আজকের এই দিনে আত্মসমর্পণ করে। হানাদার বাহিনী এ এলাকায় পাঁচ সহস্রাধিক নিরীহ জনগণকে হত্যা করে। তিন শতাধিক মা-বোন সম্ভ্রম হারায়।স্বাধীন বাংলাদেশে সর্বশেষ হানাদার মুক্ত গৌরনদীতে ১৯৭৫ সালের ৭ মে তৎকালীন পানিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ‘শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ’ নির্মাণের জন্য ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। এরপর দীর্ঘ ৩৯ বছর পেরিয়ে গেছে কিন্তু গৌরনদীতে আজো নির্মিত হয়নি কোন স্মৃতি সৌধ।একাত্তরের ২৫ এপ্রিল পাকসেনারা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের এ জনপদে প্রবেশের মাধ্যমে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। তাদের প্রবেশের খবর শুনে গৌরনদীর স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীরা গৌরনদীর সাউদের খালপাড় নামক স্থানে তাদের প্রতিহত করতে অবস্থান নেয়। ওই দিন হানাদারদের সঙ্গে সম্

আজ বাঙালির বিজয়ের দিন

Image
আজ বাঙালির বিজয়ের দিন মহান বিজয় দিবস আজ বৃহস্পতিবার, ১৬ ডিসেম্বর। আজকের প্রভাতে পূর্ব দিগন্তে যে নতুন সূর্যের উদয় হলো তার রঙ এতো লাল কেন? সেকি ‘হরিদাসী’র সিঁথির সিঁদুর মেখে, নাকি বীর মুক্তিসেনার রক্তের সাগরে স্নাত হয়ে এসেছে বলে? বিজয় আনন্দের, বিজয় গৌরবের, বিজয় মাথা তুলে দাঁড়াবার। কিন্তু বাঙালির বিজয় একাধারে বেদনারও। ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান আর কয়েক লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত যে বিজয়- সে তো বেদনার অশ্রুতে সিক্ত হবেই। তবু শত বেদনার মধ্যেও, বিজয় মানেই যে উৎসব। আজ তাই বাঙালির বিজয় উৎসব। ঘরে ঘরে আজ উড়ছে বিজয় কেতন। হৃদয়ে হৃদয়ে স্ফুরিত আনন্দ প্রভা। এই বাংলাদেশ আমাদের, এই স্বাধীনতা আমাদের। বিজয় আমাদের। মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির গৌরবময় বিজয়ের ৪০তম দিবস আজ। এ জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে গৌরবের মহিমায় সমুন্নত অনন্য এই দিনটি। এমন একটি দিনের প্রতীড়্গায় এ দেশের মানুষ প্রহরের পর প্রহর গুনেছে, লড়াই করেছে জীবন বাজি রেখে, ঝরিয়েছে বুকের তাজা রক্ত। অবশেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাসের বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালি জাতি অর্জন করে চূড়ান্ত বিজয়। প

মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা বিদেশিদের সম্মাননা জানাবে সরকার

Image
মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা বিদেশিদের সম্মাননা জানাবে সরকার ঢাকা, ডিসেম্বর ১৩ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অসাধারণ অবদান রাখা বিদেশি নাগরিকদের বিশেষ সম্মাননা জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, স্বাধীনতার ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তাদেরকে এই বিশেষ সম্মাননা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী বছরের মার্চ মাসে স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতার ৪০ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব ব্যক্তিকে সম্মাননা দেওয়া হবে। এজন্য পররাষ্ট্র এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে তালিকা চূড়ান্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, সম্মাননা জানাতে তাদের মধ্যে যারা জীবিত তাদের সবাইকেই বাংলাদেশে নিয়ে আসা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। যারা মারা গেছেন তাদেরকে মরণোত্তর সম্মাননা জানানো হবে। এজন্য তাদের প্রতিনিধিদেরকে বাংলাদেশে আনার জন্যও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশ্বের বিভিন্ন

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কিছু সময়: শেখ হাসিনা

Image
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কিছু সময়: শেখ হাসিনা নভেম্বর ২, ২০১০ ২৫ বৈশাখ ১৪১৭, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভিতরে প্রবেশ করলাম। যাবার পথে দেখলাম, রাস্তায় রাস্তায় মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। চানখারপুল হয়ে আমার গাড়ী কারাগারের প্রধান ফটকে পৌঁছাল। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে এই এলাকায় ঘরে ঘরে গিয়েছি। ১৯৫৪ সাল থেকে আমরা তখন ঢাকায় বসবাস শুরু করি তখন থেকেই এই রাস্তায় যাতায়াত আমাদের জন্য এক রকম নিয়মিত ছিলই বলা যায়। ১৯৫৪ সালে আব্বা শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হকের মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী ছিলেন। তারপর হঠাৎ করে কেন্দ্রীয় শাসন চালু হলে ৯২ ক ধারা দিয়ে জরুরী অবস্থা জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা ভেঙে দেয়া হয়। নেতাদের গ্রেফতার শুরু হয়। তখন আব্বাও বন্দি হলেন। সাথে আরও অনেক মন্ত্রী, এমপি। শেরে-এ-বাংলা এ কে ফজলুল হকও তখন বন্দি হন। সেই থেকেই জেলখানায় আব্বার সাথে সাক্ষাৎ করতে আসতাম আমি, কামাল ও ছোট্ট জামাল। আমরা মায়ের হাত ধরে আব্বার সাথে দেখা করতে আসতাম। মাসে দু’বার দেখা করার সুযোগ পেতাম। তার আগেও আব্বা জেলে ছিলেন। ১৯৪৮ সাল থেকে তিনি বহুবার জেলে গেছেন। ১৯৪৯ সাল থেকে ১৯৫২ সাল একটানা প্রায় তিন বছর জেলে কেটেছে তাঁর জীবন।

Her Excellency Sheikh Hasina, Prime Minister of the People’s Republic of Bangladesh at the General Debate of the 65th Session of the General Assembly

Bangladesh, General Debate, 65th Session 25 September 2010 Address by Her Excellency Sheikh Hasina, Prime Minister of the People’s Republic of Bangladesh at the General Debate of the 65th Session of the General Assembly of the United Nations (New York, 23-25 and 27-30 September 2010) Great Video For All Time . ... http://www.unmultimedia.org/tv/webcast/2010/09/bangladesh-general-debate-65th-session.html

আজ জননেত্রী শেখ হাসিনার ৬৪তম জন্মদিন

Image
আজ জননেত্রী শেখ হাসিনার ৬৪তম জন্মদিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ সন্তান, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ৬৪তম জন্মদিন আজ ২৮ সেপ্টেম্বর। ১৯৪৭ সালের এই দিনে মধুমতি নদী তীরের প্রত্যন্ত পাড়াগাঁ টুঙ্গিপাড়ায় শেখ হাসিনার জন্ম। পিতা শেখ মুজিবুর রহমান, মাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার প্রথম সন্তান তিনি। তার ডাক নাম হাসু। দাদা শেখ লুৎফর রহমান ও দাদি সাহেরা খাতুনের অতি আদরের নাতনি হাসু। শৈশব-কৈশোর কেটেছে দাদা-দাদির কোলে-পিঠে টুঙ্গিপাড়ায়। তারা পাঁচ ভাইবোন। কনিষ্ঠরা হলেন শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রেহানা এবং শেখ রাসেল। এদের মধ্যে শেখ হাসিনা এবং রেহানা ছাড়া কেউ জীবিত নেই। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেই কালরাতে পিতা বঙ্গবন্ধু এবং মাতা ফজিলাতুন্নেছাসহ সবাই ঘাতকদের হাতে নিহত হন। বাবাকে খুব একটা কাছে না পেলেও শৈশব-কৈশোর আনন্দেই কেটেছে শেখ হাসিনার। গ্রামবাংলার ধুলোমাটি আর সাধারণ মানুষের সঙ্গেই বেড়ে উঠেছেন তিনি। শেখ হাসিনার শিক্ষাজীবন শুরু হয় টুঙ্গিপাড়ার এক পাঠশালায়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে পরিবারকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। তখন পুরোনো ঢা

Talibans 'warn Bangladesh'

Talibans 'warn Bangladesh' Tue, Sep 28th, 2010 12:13 pm BdST Dial 2000 from your GP mobile for latest news Dhaka, Sept 28 (bdnews24.com)—The Afghan Talibans have warned Bangladesh against deployment of its army to assist the coalition forces fighting them in Afghanistan. The Times of India, citing the international news agency AFP, on Tuesday ran a report where it said that the Talibans implored the Bangladesh government to reject a US request for sending troops to the war-ravaged south Asian country. The request, which is yet to be accepted by Dhaka, was made by US envoy Richard Holbrooke during his talks in New York with Bangladesh foreign minister Dipu Moni. The Talibans responded by posting messages in Arabic and Pashto on its website while Jihadist forums called on Dhaka to spurn the US request, the US monitoring service SITE said.

জামায়াতের আইনজীবী ফখরুলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হচ্ছে

স্বাধীনতার ৩৯ বছর পর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মানবতাবিরোধী অপরাধে সন্দেহভাজন অভিযুক্ত জামায়াত নেতাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, একাত্তরে যুদ্ধ হয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের। বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো যুদ্ধ হয়নি। অপরদিকে তার এই বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে এর পাল্টা জবাব দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউর গোলাম আরিফ টিপু ও সদস্য জেয়াদ আল মালুম। তারা বলেছেন, এ ধরনের বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। এজন্য ফখরুল ইসলামের নাগরিকত্বও বাতিল হতে পারে। স্বাধীনতা যুদ্ধের ৩৯ বছর পর এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে তিনি কা-জ্ঞানহীতার পরিচয় দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেছেন তারা। সরকারের দায়িত্বশীল একটি মহল সূত্রে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার প্রস্তুতি চলছে। সূত্রটি আরো জানায়, যে জামায়াত আইনজীবী রাষ্টদ্রোহী মূলক বক্তব্যের প্রতিবাদে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টিকে সরকার গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে। আইনজীবী ফখরুল ইসলাম গতকাল বুধবার ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শেষে সাংবাদিকদের বলেন, একাত্তরে যুদ্ধ হয়েছে পাকিসতানের সঙ্গে ভা

খন্দকার মোশতাক আহমেদ, আবু সাদাত মোঃ আবু সায়েম, জিয়াউর রহমান ও এইচ এম এরশাদও অবৈধ খমতা দখলকারী।

Image
অবৈধ ক্ষমতা দখলের পথপ্রদর্শক জিয়া সপ্তম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেয়া রায়ে আদালত বলেছেন, ‘অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য হচ্ছে, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুনর্বাসন করে তাদের বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিলেন। তিনি সংবিধানকে করেছিলেন ক্ষতবিক্ষত। মূলত জিয়াই অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ দেখিয়েছিলেন অন্যদের। আর তার উত্তরাধিকারী হিসেবে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন এরশাদ।’ সংবিধানের সপ্তম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে গতকাল বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। সাবেক সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সামরিক আইনের অধীনে প্রতিষ্ঠিত ক্যাঙ্গার" কোর্টের (বিশেষ সামরিক ট্রাইব্যুনাল) মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের ফাঁসি দিয়েছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী ও জাতির জনকের খুনিদের পুরষ্কৃত ও পুনর্বাসিতও করেছেন তিনি। এমনকি খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে মিলে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে সপরিবারে জাতির জনকের হত্যার বিচারের পথ র"দ্ধ করেন। সংবিধানের সপ্তম সংশোধনী ও সামরিক শাসনসংক্রান- এক রায়ে গতকাল বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট একথা উলেস্নখ করেন। এ রায়ে হ

প্রবাসীরা জানুয়ারি থেকেই ভোটার হতে পারবেন

Image
প্রবাসীরা জানুয়ারি থেকেই ভোটার হতে পারবেন প্রবাসী বাংলাদেশি এবং দ্বৈত নাগরিকদের ভোটার করতে সরকার আইন সংশোধন করলে নির্বাচন কমিশন আগামী জানুয়ারিতেই তাদের ভোটার তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নেবে। প্রাথমিকভাবে বিদেশে ৪৮টি দূতাবাস, মিশনের মাধ্যমে ভোটার তালিকাভুক্ত করা হবে। আগামী ১ জানুয়ারি ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরুর পাশাপাশি দ্বৈত নাগরিক এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকাভুক্তির কাজ চলবে। এক মাস ভোটার তালিকাভুক্তির কাজ চলবে। নির্বাচন কমিশন সরাসরি তাদের ভোটার তালিকাভুক্তি করবে না। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।ভোটার হওয়ার পদ্ধতি : প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকাভুক্ত করতে বিশেষ ফরম তৈরি করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে পাঠানো হবে। সংশ্লিষ্ট দেশে প্রবাসী বাংলাদেশি এবং দ্বৈত নাগরিকরা আবেদন করে ভোটার তালিকাভুক্ত হবেন। নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন বলেন, ভোটার হওয়া সম্পর্কিত সবকিছু বিধিমালায় বিস্তারিত উল্লেখ করা হবে। আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দূতাবাস থেকে পাওয়া তালিকা নির্বাচন কমিশনের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করা

যেভাবে তাহের ফাঁসির মঞ্চে গিয়েছিলেন

Image
যেভাবে তাহের ফাঁসির মঞ্চে গিয়েছিলেন আবু সাঈদ খান২১ জুলাই, ১৯৭৬। ভোরের আলো ফোটার আগেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল আবু তাহেরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ১৭ জুলাই বিশেষ সামরিক আদালতে রায় ঘোষণার মাত্র ৭২ ঘন্টার মধ্যে তড়িঘড়ি করে গোপনে কার্যকর করা এ রায় নিয়ে জনমনে অনেক প্রশ্ন জমা আছে। বৈধতারও প্রশ্ন আছে বিশেষ সামরিক আদালত নিয়ে, আদালতের এখতিয়ার, সাজা নিয়েও। ৩৪ বছরে বাংলাদেশ এ প্রশ্নগুলোর উত্তর পায়নি। আশা করা হচ্ছে, হাইকোর্টের নথি তলবের মধ্য দিয়ে সে প্রশ্নের উত্তরগুলো এবার সবার সামনে সপষ্ট হবে। জাতির জনক বঙ্গবনধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের বিচার ও শাস্তি এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগের মধ্য দিয়ে যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ; সেই প্রক্রিয়ায় নতুন সংযোজন কর্নেল তাহেরের মৃত্যুদণ্ড মামলার বিচারের নথি তলব। অত্যন্ত গোপনে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হলেও সে সময়ের কারাবন্দিদের বিবরণে জানা যায়, কর্নেল তাহের গোসল করে, নিজে চা বানিয়ে পান করেন। উপস্থিত কারা কর্মকর্তাদেরও তিনি আপ্যায়িত করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় শত্রুর হামলায় একটি পা হারিয়েছিলেন কর্নেল তাহের। চা পানের পর সেই পায়ের স

Mujib was someone we all looked upon as a close friend: Pranab Mukherjee

Image
Mujib was someone we all looked upon as a close friend: Pranab Mukherjee Finance Minister Pranab Mukherjee, India's independence day, August 15, is also the day when someone he always been close to, left this world in a tragic manner," a popular English monthly magazine "Diplomatist" said in an article marking the 35th anniversary of the assassination of the founding father of Bangladesh. Advertisement "I got to know the news in the morning (the murder of Bangladesh's founding father Sheikh Mujibur Rahman)... I was in Calcutta at that time and was shell shocked. Sheikh Mujib was someone we all looked upon as a close friend," said Pranab Mukherjee, on board a special flight to Dhaka recently. "Later we came to know that Hasina and Rehana, his daughters were safe in Germany, otherwise the whole family would have been wiped out." Mukherjee said while recalling the darkest days in the chapter of Bangladesh's history. The man, who has been the

National Mourning Day 15 august

Image
15 Aug. We Mourn বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ আজ দুঃখ-ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আপনারা সবই জানেন এবং বুঝেন। আমরা আমাদের জীবন দিয়ে চেষ্টা করেছি- আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুর ও যশোরের রাজপথ আমার ভাইয়ের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে।আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়-তারা বাঁচতে চায়। তারা অধিকার পেতে চায়। নির্বাচনে আপনারা সম্পূর্ণভাবে আমাকে এবং আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছেন শাসনতন্ত্র রচনার জন্য। আশা ছিল জাতীয় পরিষদ বসবে, আমরা শাসনতন্ত্র তৈরী করবো এবং এই শাসনতন্ত্রে মানুষ তাদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি লাভ করবে।কিন্তু ২৩ বছরের ইতিহাস বাংলার মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস। ২৩ বছরের ইতিহাস বাংলার মানুষের মুমুর্ষু আর্তনাদের ইতিহাস, রক্ত দানের করুণ ইতিহাস। নির্যাতিত মানুষের কান্নার ইতিহাস।১৯৫২ সালে আমরা রক্ত দিয়েছি। ১৯৫৪ সালে নির্বাচনে জয় লাভ করেও ক্ষমতায় বসতে পারিনি। ১৯৫৮ সালে দেশে সামরিক শাসন জারি করে আইয়ুব খান দশ বছর আমাদের গোলাম করে রাখলো। ১৯৬৬ সালে ৬-দফা দেয়া হলো এবং এর পর এ অপরাধে আমার বহু ভাইকে হত্যা করা হলো। ১৯৬৯ সালে গণ-আন্দোলনের মুখে আইয়ুবের পতনের পর

'বঙ্গবন্ধু-আওয়ামী লীগ-বাংলাদেশ' একই সূত্রে গাঁথা

'বঙ্গবন্ধু-আওয়ামী লীগ-বাংলাদেশ' একই সূত্রে গাঁথা আজ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বিশেষ প্রতিনিধি ॥ "...জীবন দানের প্রতিজ্ঞালয়ে লক্ষ সেনানী তব পাছে/তোমার হুকুম তামিলের লাগি সাথে তব চলিয়াছে।/রাজভয় আর কারা শৃংখল হেলায় করেছ জয়/ফাঁসির মঞ্চে মহত্ত্ব তব কখনো হয়নি ক্ষয়।/বাংলাদেশের মুকুটহীন তুমি প্রমর্ত রাজ/প্রতি বাঙালির হৃদয়ে তোমার তখত তাজ...।"'বঙ্গবন্ধু-আওয়ামী লীগ-বাংলাদেশ' ইতিহাসে এই তিনটি নাম একই সূত্রে গাথা। আজ গণমানুষের প্রিয় দল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। আওয়ামী লীগ মানেই বাঙালী জাতীয়বাদের মূল ধারা। অতীতের মতো বাংলাদেশের ভবিষ্যতও আওয়ামী লীগের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে যুক্ত। বাঙালী জাতির মুক্তির মূলমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে গণতান্ত্রিকভাবে জন্ম নেয়া উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আজ ৬১ বছরে পা রাখল। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার বিখ্যাত রোজ গার্ডেনে জন্ম হয়েছিল এই প্রাচীন রাজনৈতিক দলটির। এই দলের জন্মলাভের মধ্য দিয়েই রোপিত হয়েছিল বাঙালীর হাজারও বছরের লালিত স্বপ্ন স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজ। জন্মলগ্ন থেকেই দেশের মাটি ও মানুষের প্রতি দলটির নেতাকর্মীদ